নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারার অপেক্ষা

মাত্র কয়েকদিন পরই নতুন বইয়ের ঘ্রাণে মাতোয়ারা হবে শিক্ষার্থীরা। নতুন বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে ইতোমধ্যেই সব প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকার। ২০২০ সালে প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া হবে সাড়ে ৩৫ কোটি বই। এবারও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রেইল বই এবং ৫টি ভাষায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্যও রয়েছে নিজস্ব ভাষার প্রাক প্রাথমিক থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত বই।

বই হাতে পেয়ে প্রতি বছর এভাবেই উচ্ছ্বসিত হতে দেখা যায় শিক্ষর্থীদের। নতুন বইয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা প্রায় শেষের দিকে। এরই মধ্যে দেশের ৬৪ জেলায় পৌঁছে গেছে প্রাক- প্রাথমিক থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত সব বই। এখন বাকি কেবল আনুষ্ঠানিকতার। রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলও প্রস্তুত বই উৎসবের জন্য।

এ বছর ৪ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া হবে ৩৫ কোটি ৩৯ লাখ ৯৪ হাজার বই।

সরকারের এ উদ্যোগকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন শিক্ষাবিদরা। তবে বিতর্কিত বিষয় পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেয়ার দাবি তাদের।

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, নিচ থেকে ওপরে ওঠার যে বিষয়টি সেটা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সবসময় বসতে হবে। এটা হঠাৎ করে কোনো মন্ত্রণালয় বা সরকারের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে না।

এনসিটিবির তথ্য অনুসারে, ২০১০ সাল থেকে ১১ বছরে মোট বই বিতরণের সংখ্যা ৩৩১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৩ হাজার।

২০২১ সালে ১ম , ২য় ও ৬ষ্ঠ শ্রেণির বইয়ে পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র। তিনি বলেন, আমরা বছরে বই উৎপাদন করি সেগুলোর মধ্যে কোনো ত্রুটি থাকলে তা সংশোধনে শিক্ষাবিদের পরামর্শ নেই।

এবারও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীরা পাচ্ছেন নিজস্ব ভাষার বই। ১ম থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত ৯৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া হবে ২ লাখ ৩০ হাজার বই।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন